নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ,গ্যাস,সহ-দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বরিশালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
পহেলা এপ্রিল শনিবার নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল পার্শ্ববর্তী বিএনপির দলীয় কার্যালয় সম্মুখে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০ টায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড.মোঃমজিবর রহমান সরোয়ার, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটি’র সংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড,বিলকিস জাহান শিরীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোঃ রহমত উল্লাহ্,দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড,আবুল কালাম শাহীন, আইনজীবী নেতা এ্যাড,নাজিম উদ্দিন আলম পান্না সহ-পৌর,থানা,উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড.মোঃমজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তৎকালীন সময়ে ইয়াহিয়া ও ভুট্টো যদি জানত ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকা যায় তাহলে তারাও সেই সময় ক্ষমতায় থাকতে পারত। কিন্তুু তা করেনি। তবে বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে আজ দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় যায় আওয়ামীলীগ। তাই হাসিনার অধিনে কোন নির্বাচনে যাবেনা বিএনপি।
সরোয়ার বলেন,আ’লীগ সরকার দেশের রিজার্ভ ফান্ডের টাকা দিয়ে উন্নয়ন করছে বলে দেশে আজ নিত্য পন্নের লাগামহীন উর্দ্ধগতি হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে ব্যায় দেখিয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। মেঘা প্রজেক্টের আড়ালে মেঘা দূর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের নেতা ও আমলারা দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে বেগম পাড়ায় বিনিয়োগ করেছে। আর দেশের মানুষ আজ আধা পেট খেয়ে জীবনযাপন করছে।
দেশে আজ নিরব দূর্ভিক্ষ চলছে। প্রধানমন্ত্রী
জনগনের সাথে উপহাস করে কাঠাল দিয়ে বার্গার ও বেগুনির পরিবর্তে মিষ্টিকুমারের চপ খেতে বলে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই দেশের জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও রক্ত দিব।
আর সেই রক্তের স্রোতে ভেসে যাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার।
অপর দিকে দুপুর ২ টায় বরিশাল মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এ্যাড,মীর জাহিদুল কবির জাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবঃএয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী। বিএনপির নির্বাহী সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনোকুল ইসলাম, সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, ইন্জিনিয়র আবদুস সোবাহান, উত্র জেলা বিএনপির আহবায়ক দেওয়ান মোঃশহিদুল্লাহ্,সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর বলেন, কল্যানমুখি রাষ্ট্রের জন্য সেদিন জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। দেশ স্বাধীন হবার পর আ’লীগ ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ৭৩ সালে ভোট চুরি শুরু করে। তৎকালীন সময়ে খন্দকার মোস্তাককে জেতানোর জন্য ভোট চুরি করে হেলিকপ্টারে করে ব্যালট বাক্স নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা,রাজনৈতিক অধিকার, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা কেড়েনিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। আর যারা প্রতিবাদ করেছে, গণবাহিনী ও রক্ষীবাহিনী গঠন করে তাদের হত্যা করেছে। সেই মোস্তাকই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে।
আ’লীগের ইতিহাস হত্যার ইতিহাস। তাই মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনাও আজ দেশে ভোট চুরি করে, মানুষকে গুম ও খুন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। তার বাবার স্বপ্নের বাকশাল কায়েম করতে। সৈরাচার হাসিনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ আজ যেগে উঠেছে । বিদেশের নেতারা আজ দেশের গনতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দিচ্ছে। সরকার পতনের আর বেশি দিন বাকি নেই।
বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক ও রনাঙ্গনের নেতৃত্ব দেওয়া যোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের হাতে গড়া দল। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার আপোষহীন স্ত্রী খালেদা জিয়া ও সুযোগ্য পুত্র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খালেদা জিয়া দেশের জনগনের অধিকারের কথা বলে। তাই আজ তাকে মিথ্যা মামলায় আটকে রেখেছে। আর তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের জনগন আস্থাশীল হয়েছে তাকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে।
প্রধান বক্তা আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন,দেশের ব্যাংকগুলোর টাকা লুটপাট, গুম, খুনের দায়ে আওয়ামীলীগকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের ব্যাংকগুলো আজ দেউলিয়া হবার পথে।
তাই আই,এম,এফ’র কাছ থেকে কঠিন শর্তে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋন নিয়েছে সরকার। এত পরিমান ঋন ইতিপূর্বে কোন সরকারকে নিতে হয়নি। আজ বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেল ও নিত্য পন্যের দাম আকাশচুম্বী।
সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুদার্ত মানুষ কষ্টের কথা বলছে। সেই কথা প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বিএনপির চলমান ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে গনতন্ত্রিক দেশ ও জাতিসংঘের চাপের কারনে সরকারের ভীত লড়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বিএনপিকে সংলাপে ডাকছে। আমরা নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে যাবো।
আ’লীগকে বুলেটের মাধ্যমে না ব্যালোটের মাধ্যমে জণগন ক্ষমতাচ্যুত করবে
Leave a Reply